Worldwide Bengali Panjika

Vyas Puja Vidhi: ব্যাস পূজা বিধি ও তাৎপর্য


শ্রীশ্রী ব্যাস পূজা: আষাঢ়ী পূর্ণিমার দিনে গুরুদেবকে পূজা করা হয় এ তো আমরা আগেই জেনেছি। বৈদিক পদ্ধতি অনুসারে আধ্যাত্মিক গুরুর জন্মদিন “ব্যাস পূজা” হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ব্যাসদেব থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে আগত একজন সত্যবাদী আধ্যাত্মিক গুরুকে ব্যাসদেবের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। “শ্রীল প্রভুপাদ” এই শিষ্য উত্তরাধিকারের ৩২ তম আচার্য এবং তাঁর শিষ্যরা ব্যাস পূজা হিসেবে তাঁর আবির্ভাব দিবস পালন করেন।

WhatsApp প্রতিদিনের পঞ্জিকা নিজের হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে দেখুন (একদম ফ্রী)

ইসকনের ভক্তদের কাছে এটি বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ভক্তরা দুপুর পর্যন্ত উপবাস করে থাকেন এবং আধ্যাত্মিক গুরুকে নিবেদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রান্নাবান্নার আয়োজন করা হয়। আর এই রান্না করা ভোগ তিনি ঘুরে তারপর কৃষ্ণকে প্রদান করেন। ভক্তরা শ্রীল প্রভুপাদকে মহিমান্বিত করার জন্য তাঁদের লেখা শ্রদ্ধ্যা নিবেদন পাঠ করে থাকেন, একটি বিশাল অভিষেক করা হয় এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয় সেখানে আগত সকল ভক্তদের মধ্যে।

শ্রীল প্রভুপাদ উক্তিঃ

যে সমস্ত ভক্তরা ব্যাস পূজাতে অংশগ্রহণ করে থাকেন সেই সমস্ত ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীল প্রভুপাদ কি বলেছেন:

“আসলে কৃষ্ণের কাছ থেকে সরাসরি শ্রবণ করা এবং ব্যাসের মতো সত্যবাদী আধ্যাত্মিক গুরুর মাধ্যমে সরাসরি কৃষ্ণের কাছ থেকে শোনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আধ্যাত্মিক গুরু ব্যাসদেবের প্রতিনিধিও তাই। বৈদিক পদ্ধতি অনুসারে আধ্যাত্মিক গুরুর জন্মদিনে শিষ্যরা ব্যাস পূজা নামে একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!