হিরোশিমা দিবস (Hiroshima Day): হিরোশিমা এবং নাগাসাকি, এখানে যে পরমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল তার রেশ রয়েছিল বেশ কয়েক বছর। মানবতার ইতিহাসে এই ছিল জঘন্যতম একটা দিন। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সমস্ত মানবিক মূল্যবোধ কে, যুদ্ধের প্রথম শিকার হল মানবতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৯৪৫ আগস্টের ৬ তারিখে জাপানের হিরোশিমা নগরীতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ এর ফলে যে ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল তা বারে বারে আমাদের সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রতিদিনের পঞ্জিকা নিজের হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে দেখুন (একদম ফ্রী)
আগস্টের ৬ তারিখে হিরোশিমায় “লিটল বয়” নামে এই বোমা বর্ষণের পর জাপানেরই আরেক শহর নাগাসাকিতে ৯ আগস্ট আরেক দফা পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়। একই রকম ধ্বংস যজ্ঞ সৃষ্টি হয়েছিল সেই শহরেও।
জাপানের এই বোমা বিস্ফোরণের ফলে জানা গিয়েছে যে বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট মারাত্মক শারীরিক সমস্যার কারণে দুই শহরে চার লাখের মতো মানুষ মারা যায়। এদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক, নিরীহ মানুষ, ঘুমন্ত অসহায় শিশু, নারী, পুরুষ, বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা ছাড়াও কয়েক লাখ মানুষ চিরতরে পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন।
এই দিনটি উপলক্ষে সকালে হিরোশিমায় পিস মেমোরিয়াল পার্কের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা ও স্মরণ সভার আয়োজন করে থাকে জাপান সরকার। এছাড়া জাপানের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন যে, “পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বাস্তবতা নিয়ে সঠিক ধারণা থাকা দরকার। এটি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্বপূর্ণ দিক, একমাত্র দেশ হিসেবে পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার জাপান একদিন পারমাণবিক অস্ত্রহীন বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে”।
এখানে উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ১৯৪৯ সালে হিরোশিমা কে ঘোষণা করা হয় “শান্তির শহর” হিসেবে। নির্মিত হয় “শান্তি স্মৃতি পার্ক” প্রতিবছরই শোক আর বেদনায় দিনটিকে স্মরণ করে থাকে বিশ্ববাসী, সঙ্গে চলে যুদ্ধ বিরোধী প্রচার। সকলে মিলে শান্তিতে বসবাস করার এই চেষ্টা সকলের মনে শান্তির বাণী প্রচার করে।