বকরি ঈদ (ইদুজ্জোহা): ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই ঈদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এই ঈদকে অনেকে কোরবানির ঈদ হিসেবেই চেনেন। এই ঈদে বিশেষ প্রার্থনার অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে সকল মুসলমানরা ঈদের নামাজ পড়েন তারপর চলে তাদের কোরবানির উৎসব।
ঈদ উপলক্ষে আলোয় সেজে ওঠে চারিদিক। মসজিদ বাড়ি গুলির আশেপাশে মানুষের ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে বছরের দ্বাদশ তম মাস হল দেহুয়াল হিজজা। এই মাসের দশম দিনে কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হয়।
এই ঈদ হল মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি অন্যতম উৎসব। হযরত ইব্রাহিমের আমল থেকে আজও পৃথিবী জুড়ে কোরবানি কে আল্লাহর কাছে নিবেদন করা হিসেবে মনে করা হয়।অন্য সবকিছুর মতো স্থানীয় পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যে কোরবানিতেও বেশ কিছু বৈচিত্র্য দেখা যায়।
বকরি ঈদ পালন পর্ব:
সকল মুসলমান পরিবারগুলো একত্রিত হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। এর মাংস ভোজ হিসাবে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলেই। তারপর সেই ভোজ পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং এছাড়াও গরীব দের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ইসলাম অনুসারে বলা হয় যে, এই ঈদের দিন কোনো ঘরে যেন কেউ ক্ষুধার্ত অবস্থায় না থাকেন। গরিবদের সঙ্গেও মাংস ভাগ করে নেওয়া হয়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা তাঁদের সেরা পোশাক পরেন এবং সেরা খাবারও খেয়ে থাকেন এই দিন।
বাড়িতে মহিলাদের ভূমিকা:
সকাল থেকে চলে ক্ষীর, পোলাও, সিমাই, লাচ্ছা এইসব প্রস্তুত করার পর্ব। সেখানে বাড়ির মহিলারা বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তার পাশাপাশি পশু কোরবানি দেওয়া মাংসও রান্না করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। এছাড়া তাঁরা এই বিশেষ পবিত্র দিনের নামাজ পড়তেও ভোলেন না, এমনকি কোরআন শরীফ পড়তেও ভোলেন না।
বকরি ঈদের তাৎপর্য:
সাধারণত আল্লাহকে খুশি করতে এই দিন পশু কোরবানি দেওয়া হয়, আর এই পেছনে রয়েছে আরেক কাহিনী, মূলত বকরি ঈদ অথবা ইদুজ্জোহা একটি অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হয়। যেখানে সকল ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহর প্রতি ভক্তি নিবেদন হিসেবে আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন এবং মাংস সকল গরীব দুঃখীদের মধ্যে ভাগ করে দেন।
ইব্রাহিম ও ইসমাইলের দুঃখ ও ভক্তি ভাগ করে নেওয়ার জন্য পশুর এই বলি দেওয়া এবং অন্যদের জন্য খাদ্য গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে সম্পদ, টাকা-পয়সা অথবা কোন সাহায্য ভাগ করে নেওয়া হয়। অভাবী হোক বা না হোক এই পবিত্র দিনটির সর্বোত্তম ভিত্তি রয়েছে এবং এই দিনটি সকল মুসলিমরা খুবই ভক্তির সাথে পালন করে থাকেন।